কিওয়ার্ড অ্যানালাইসিস গেস্ট ব্লগিং কি এর সুবিধা-অসুবিধা,Buying কিওয়ার্ড কি লং টেইল কিওয়ার্ড কি আর্টিকেল রাইটিং এর স্ট্রাটেজি, টপিক খোজা এবং গুগল কনটেন্ট পলিসি
আসসালামু আলাইকুম। আজকে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। যে
বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা একান্ত প্রয়োজন। আজকে Buying কিওয়ার্ড কি লং টেইল
কিওয়ার্ড কি আর্টিকেল রাইটিং এর স্ট্রাটেজি, টপিক খোজা, ও কিওয়ার্ড অ্যানালাইসিস
গেস্ট ব্লগিং কি এর সুবিধা-অসুবিধা এবং গুগল কনটেন্ট পলিসি ইত্যাদি সম্পর্কে
বিস্তারিত জানবো।
এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা না থাকলে অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই
চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নিই Buying কিওয়ার্ড কি লং টেইল কিওয়ার্ড কি আর্টিকেল
রাইটিং এর স্ট্রাটেজি, টপিক খোজা, ও কিওয়ার্ড অ্যানালাইসিস গেস্ট ব্লগিং কি এর
সুবিধা-অসুবিধা এবং গুগল কনটেন্ট পলিসি সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ কিওয়ার্ড অ্যানালাইসিস গেস্ট ব্লগিং কি এর সুবিধা-অসুবিধা,Buying কিওয়ার্ড কি লং টেইল কিওয়ার্ড কি আর্টিকেল রাইটিং এর স্ট্রাটেজি, টপিক খোজা এবং গুগল কনটেন্ট পলিসি
ভূমিকা
আসলে এখানে যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হবে সেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। Buying
কি-ওয়ার্ড হচ্ছে কোন বিষয় লিখে গুগলে সার্চ দেওয়া এবং যে ব্যক্তি সার্চ করে
তাকে টার্গেট করে পোস্ট লিখা এবং পোস্টের ভিতর কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করার কিছু
কথা। কিওয়ার্ড টা লং টেইল হতে পারে আবার শর্ট টেইলও হতে পারে। গুগলে মানুষ
বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে বা কি ওয়ার্ড দিয়ে টপিক খোঁজার চেষ্টা করে।
নতুন আর্টিকেল রাইটারের ক্ষেত্রে এগুলো জানা একান্ত প্রয়োজন।
কারণ নতুন আর্টিকেল লেখার জন্য Buying কিওয়ার্ড, লং টেইল কিওয়ার্ড, কিওয়ার্ড
অ্যানালাইসিস এগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে একটি
সুন্দর আর্টিকেল লেখা সম্ভব। তাই Buying কিওয়ার্ড কি লং টেইল কিওয়ার্ড কি
আর্টিকেল রাইটিং এর স্ট্রাটেজি, টপিক খোজা, ও কিওয়ার্ড অ্যানালাইসিস গেস্ট ব্লগিং
কি এর সুবিধা-অসুবিধা এবং গুগল কনটেন্ট পলিসি এগুলো সম্পর্কে নিচের আলোচনার
মাধ্যমে বিস্তারিত জেনে নিই।
Buying কিওয়ার্ড কি
এখন আমরা জানবো Buying কীওয়ার্ড কি। Buying কিবোর্ড বলতে বুঝায় এমন কিছু
গুগলে সার্চ দেওয়া যেটা দিয়ে সার্চ দেয়, সেই বিষয়ে সম্পর্কেই জানতে চাই।
সার্চ দিয়ে জানতে চাই সেই বিষয় ভালো না খারাপ, এর উপকারিতা কি, আসল না নকল
ইত্যাদি বিষয়। আপনার প্রধান লক্ষ্য থাকবে ওই সকল কাস্টমারকে ধরা যারা এসব বিষয়
নিয়ে গুগলে সার্চ করে।
এক্ষেত্রে আরেকটি টার্গেট হবে ওই সকল ব্যক্তিদের জন্য পোস্ট লেখা এবং পোস্টের
ভেতর প্রোডাক্ট কিভাবে বিক্রয় করা যায় সে সংক্রান্ত আলোচনা করাই হচ্ছে Buying
কি-ওয়ার্ড। অন্যভাবে Buying কিওয়ার্ড হচ্ছে কি ওয়ার্ডকে র্যাংকিংয়ের
জন্য Google কে টাকা দেয়া।
লং টেইল কিওয়ার্ড কি
আজকে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব এটি হচ্ছে লং টেইল কি ওয়ার্ড কি। আসলে লং
টেইল কি ওয়ার্ড কাদের জন্য বা কিভাবে ব্যবহার করব এই বিষয়টি জানা
প্রয়োজন। যদি আপনি সংক্ষিপ্ত কিওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ করেন সেক্ষেত্রে সেটা
just কিওয়ার্ড। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ শর্ট টেইল কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ
করে। শর্ট টেইল কিওয়ার্ড দিয়ে কোন পোস্ট লিখলে সেখানে ভিজিটর আসার সম্ভাবনা
বেশি। কারণ অনেকেই লং টেইল কি ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে না।
আরও পড়ুনঃ কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিরোধের উপায়
এখন প্রশ্ন আসে লং টেইল কিওয়ার্ড টা আসলে কাদের জন্য। যারা শুরুতে ব্লগিং করে
ইনকাম করতে চান তাদের জন্য লং টেইল কিওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত। তাহলে দ্রুত
ওয়েবসাইট র্যাংক করানো যায়। কারণ আর্টিকেল লেখার সময় সবাই শর্ট টেইল
কিওয়ার্ড ব্যবহার করে। আর এই শর্ট টেইল কিওয়ার্ড দিয়ে সবাই আর্টিকেল লিখে।
তখন ওয়েবসাইট র্যাংক করানো কষ্টকর ব্যাপার। তাই লং টেইল কিওয়ার্ড ব্যবহার
করতে হবে।
আর্টিকেল রাইটিং এর স্ট্রাটেজি, টপিক খোজা, ও কিওয়ার্ড অ্যানালাইসিস
আর্টিকেল লেখার সময় কিছু নিয়ম কানুন মেনে আর্টিকেল লিখতে হয়। এই আর্টিকেল
লেখার সময় গুগলের কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। এই নিয়মকানুন মেনে আর্টিকেল লিখলে
ওয়েবসাইট র্যাংক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যখন আমরা কোন বিষয় নিয়ে
আর্টিকেল লিখি তখন সেই বিষয়টা গুগলে সার্চ করি। যদি দেখি, যে কি ওয়ার্ডটা দিয়ে
সার্চ করেছি সেটি একটি competitive কিওয়ার্ডস, তখন আমরা সেটি দিয়ে আর্টিকেল
লিখি। আর যদি দেখি যে কিওয়ার্ড দিয়ে আর্টিকেল লিখব সে কিওয়ার্ড গুগলে কেউ
সার্চ করে না তখন সে কিওয়ার্ড দিয়ে আর্টিকেল লেখা উচিত হবে না।
তাহলে যে বিষয়টা মানুষ সার্চ দেয় না, সে বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখা বা না লিখা
দুটোই সমান। অর্থাৎ যে বিষয় মানুষের আগ্রহ নেই, সেই বিষয় নিয়ে লেখা মানে সময়
নষ্ট করা। আবার আপনি এমনভাবে একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন যেভাবে মানুষ google-এ
সার্চ দেয় আপনি সেভাবে না লিখে অন্যভাবে লিখেছেন। তাই আর্টিকেল লেখার সময় এ সকল
নিয়মকানুন বা কৌশল গুলো মাথায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুনঃ বাচ্চাদের নুডুলস খাওয়ার উপকারিতা
একটা আর্টিকেল লেখার নিয়ম কানুন অনুসরণ করার সাথে সাথে প্রধান কাজ হচ্ছে টপিক
খোঁজা বা ফোকাস কীওয়ার্ড বের করা। কারণ ফোকাস কিওয়ার্ড যথাযথ না হলে
র্যাংক করা সম্ভব হয় না। তাই প্রধান কাজ যে বিষয়ে লিখব তার টপিক খোঁজা।
এক্ষেত্রে google এ গিয়ে একটি শব্দ লিখলে অনেকগুলো সাজেশন চলে আসে। সেই সাজেশন
গুলোর মধ্য থেকে টপিক খুঁজে পাওয়া সম্ভব বা ফোকাস কিওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা
যায়। এবং সেই ফোকাস কিওয়ার্ড দিয়ে পোস্ট লেখা যায়।
কীওয়ার্ড গুলো শর্ট টেইল হয় আবার লং টে্ইলও হতে পারে। শর্ট
টেইল কিওয়ার্ডগুলো আমরা সচরাচর ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু লং টেইল কি
ওয়ার্ড গুলো ব্যবহার অনেক কম। যখন কোন শব্দ দিয়ে গুগলে সার্চ করা হয় তখন
অনেকগুলো সাজেশন আসে। তখন প্রশ্ন হয় কতগুলো ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করা যাবে।
তখন লং টেইল কিওয়ার্ড ফোকাস কিওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
গেস্ট ব্লগিং কি এর সুবিধা-অসুবিধা
এবার আমরা গেস্ট ব্লগিং কি এর সুবিধা ও অসুবিধা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত
জানবো। সাধারণভাবে বলা যায়, গেস্ট অর্থ হচ্ছে অতিথি এবং ব্লগিং অর্থ হচ্ছে
লিখালিখি করা। অর্থাৎ গেস্ট ব্লগিং হচ্ছে অন্য ওয়েবসাইটে গিয়ে অতিথি
হিসেবে সেখানে কাজ করা এবং তার বিনিময়ে অর্থ পাওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলোকে গেস্ট
ব্লগিং বলা হয়।
উদাহরণঃ ধরুন, আপনি কোন ওয়েবসাইটে গিয়ে দুটা তিনটা পোস্ট লিখে জমা দিলেন তার
বিনিময়ে আপনাকে পেমেন্ট দিয়ে দিল এটাই গেস্ট ব্লগিং।
সুবিধাঃ আপনি আপনার ইচ্ছামত পোস্ট লিখে কোন একটি ওয়েবসাইট(ordinary
it.com) এ জমা দিলে সেই ওয়েবসাইট আপনাকে পেমেন্ট দিবে। পোস্ট জমা দেওয়ার পর সেই
ওয়েবসাইটের লাভ হলো না ক্ষতি হলো ইত্যাদি বিষয়ে আপনার কোন সম্পর্ক থাকবে না।
তার মানে সেই পোস্ট নিয়ে আপনাকে কোন চিন্তা করার কারণ নেই। এখানে সুবিধাটা হচ্ছে
এই যে, এটা জবের মত এখানে আপনাকে কোন ঝুঁকি নেওয়ার কিছুই নেই। কাজ করবেন অর্থ
পাবেন।
অসুবিধাঃ অসুবিধা হচ্ছে এটাই যে, একটি মাত্র আর্টিকেল থেকে হাজার হাজার
ডলার ইনকাম করতে পারবেন। তবে আর্টিকেলটি অধিক কোয়ালিটি সম্পন্ন হতে হবে। সেই
আর্টিকেলটি যদি অন্য কাউকে লিখে দেন এবং বিনিময়ে অর্থ নেন। তাহলে বিষয়টি এরকম
দাঁড়াবে তাদেরকে এমন একটি আর্টিকেল দিলেন যে আর্টিকেল থেকে তারা লাইফ টাইম ইনকাম
করতে পারবে। কিন্তু আপনি তার বিনিময়ে সাময়িক কিছু অর্থ পেলেন। তাহলে এটি একটি
গেস্ট ব্লগিংয়ের অসুবিধা।
উল্লেখ্য যে, গেস্ট ব্লগিং করে চারটি উপায়ে ইনকাম করা যায়।
- ফেরি করে বিক্রি করা।
- মার্কেট প্লেসে বিক্রি করা।
- পাট টাইম জব করা।
- ফুলটাইম জব করা ।
গুগল কনটেন্ট পলিসি
ব্লগারে কন্টেন্ট লেখার সময় কিছু নিয়মকানুন বা নীতিমালা অনুসরণ করে কন্টেন্ট
গুলো লিখতে হয়। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য কনটেন্ট পাবলিশ করার জন্য আপনার ব্লগার
সেটিং এ এসে adult অপশনটি চালু করতে হবে। মানে এখানে সতর্ক করা হয় যে, এখানে
প্রাপ্তবয়স্কদের পোস্ট বা ভিডিও রয়েছে। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের আর্টিকেল লিখে
অর্থ উপার্জন না করাই ভালো। বাচ্চাদের যৌন নিপীড়ন সম্পর্কিত কনটেন্ট দিবেন না।
গুগল আমাদের এরকম কনটেন্ট বা প্রোডাক্ট ব্যবহারের অনুমতি দেয় না। কারণ এরকম
কনটেন্ট বা প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে বাচ্চার বিপদে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তাছাড়া বাচ্চার কিছু অন্তরঙ্গ ছবি দিয়েও ব্ল্যাকমেল করতে পারে, এরকম কিছু
ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা।
আরও পড়ুনঃ
মেয়েরা কিভাবে ছেলেদের প্রেমে পড়ে
তারপর ঝুঁকিপূর্ণ কিছু জিনিস বা এমন কোন কাজ করা যে কাজগুলো বেআইনি সম্পর্কিত
তথ্য প্রচার করতে সাহায্য করে। এরকম তথ্য প্রচার করা থেকে বিরত থাকা। এমন কোন
তথ্য দিচ্ছেন যেটার মাধ্যমে হয়রানির শিকার হচ্ছে। এরকম তথ্য থেকে বিরত থাকা। যে
বক্তব্যগুলো ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ ইত্যাদি বিষয়গুলোকে আঘাত হানে এরকম ঘৃণাত্মক
বক্তব্য প্রচার করবেন না। বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে এমন কনটেন্ট ব্যবহার করা যাবে
না। তাই উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে কনটেন্ট লিখতে হবে। আপনার কনটেন্ট এর
মাধ্যমে অন্য কেউ যেন ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
শেষ কথা
অবশেষে বলবো, উপরোক্ত যে বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো অধিক
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ একজন নতুন ব্লগারের কাছে Buying কিওয়ার্ড কি লং টেইল
কিওয়ার্ড কি আর্টিকেল রাইটিং এর স্ট্রাটেজি, টপিক খোজা, ও কিওয়ার্ড অ্যানালাইসিস
গেস্ট ব্লগিং কি এর সুবিধা-অসুবিধা এবং গুগল কনটেন্ট পলিসি ইত্যাদি বিষয়
সম্পর্কে ধারণা না থাকলে কনটেন্ট কোন কিওয়ার্ড দিয়ে লিখতে হবে, লেখার কৌশল কি,
গুগল কনটেন্ট পলিসি গুলো কি কি ইত্যাদি বিষয় বুঝতে পারবে না। তাই উপরের
বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে বা মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আজকে এ পর্যন্তই সবাই ভালো
থাকবেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন।