ভীম সাবানের দাম-ভিম লিকুইড এর দাম সম্পর্কে জেনে নিন
আসসালামু আলাইকুম। আজকের বিষয়টি হচ্ছে ভীম নিয়ে। অনেকেই ভিম নামটি শুনে পোস্টটি
এড়িয়ে যাবেন। কিন্তু শুরুতেই বলছি, পোস্টটি মনোযোগ সহকারে আগে পড়ুন। হয়তো
বিষয়টি অনেক সহজ কিন্তু এই বিষয়ের অনেক কিছুই আমরা জানি না। যে জিনিসগুলো অজানা
রয়েছে সেগুলো আজকে জেনে নিব।
ভিম আসলে কি? কি কাজে ব্যবহৃত হয়? ভীম কিভাবে তৈরি করা হয় এগুলো আমরা অনেকেই
জানিনা। আমরা অনেকেই জানি, ভীম একটি পরিষ্কারক উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি
পরিষ্কারের পাশাপাশি অনেক কাজে ব্যবহৃত হয়। তাই চলুন জেনে নিই- ভীম লিকুইড কি,
ভীম লিকুইড এর দাম সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃভীম সাবানের দাম-ভিম লিকুইড এর দাম
ভূমিকা
ভীম লিকুইড সবার কাছে পরিচিত। ভীম লিকুইড বাজারে সরবরাহ বেশি থাকাই খুব সহজেই
পাওয়া যায়। অর্থাৎ এটি পেতে কোন সমস্যা হয় না। কারণ ভীম লিকুইড প্রায় দোকানেই
পাওয়া যায়। এটি আমরা পরিস্কারক উপাদান হিসেবে ব্যবহার করে থাকি। ভীম লিকুইড সকল
থালাবাসন ঝকঝকে করে তোলে।এখন বর্তমানে ভীম বারের পরিবর্তে লিকুইড বেশি ব্যবহৃত
হয়।
যখন লিকুইড দিয়ে পরিষ্কার করা হয় তখন থালা-বাসনে বা পাত্রে কোন দাগ পড়ে না।
এটি দিয়ে নন-স্টিকের পাত্র পরিষ্কার করলে কোন দাগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
বর্তমানে ভীম লিকুইড ব্যবহার করে না এমন বাড়ি খুঁজে পাওয়া অসম্ভব ব্যাপার। তাই
চলুন আরো বিস্তারিতভাবে জেনে নিন এই ভীম লিকুইড সম্পর্কে।
ভিমবার লিকুইড
ভীমবার লিকুইড হাতের কোন ক্ষতি ছাড়াই থালা বাসন বা পাত্র পরিষ্কার করে। ভিমবার
লিকুইড- এ Ph এর পরিমাণ কম থাকায় হাতের কোন ক্ষতি হয় না। দামের দিক দিয়ে এটি
হাতের নাগালের মধ্যে থাকাই, সবাই ক্রয় করে ব্যবহার করতে পারে। অন্যান্য যে
পরিষ্কারক দ্রব্যগুলো রয়েছে সেগুলো থেকে ভিম লিকুইড দ্বিগুণ পরিস্কার করে। কোন
দাগ ছাড়াই সম্পূর্ণ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এই লিকুইড। সুগন্ধের দিক দিয়ে
এটি অনেক ভালো সুগন্ধযুক্ত দ্রব্য। এক ফোঁটা ভীম লিকুইড পাত্র পরিষ্কার করার জন্য
যথেষ্ট। এ সমস্ত কারণেই এই লিকুইড খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং এর ব্যবহার দিন
দিন বেড়েই চলেছে।
ভীম লিকুইড তৈরি
আমরা যে ভীম লিকুইড ব্যবহার করি সেগুলো সাধারণত বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা
কি জানি ভীম লিকুইড ঘরোয়া ভাবে তৈরি করে ব্যবহার করা যায়। এটা হয়তো আমরা
অনেকেই জানিনা। বাসায় ভীম লিকুইড তৈরি করতে খরচ নেই বললেই চলে। আমরা কে না চাই
বাসায় তৈরি করতে। তাই আজকে আপনাদের জানাবো কিভাবে খুব সহজ পদ্ধতিতে ভীম লিকুইড
তৈরি করা যায়। প্রথমে এটি তৈরি করার জন্য প্রয়োজন ৩-৪ টি লেবু, বেকিং সোডা এবং
কিছু পরিমাণ ভিনেগার। প্রথমে তিন থেকে চারটি লেবু আপনার পছন্দমত ছোট ছোট টুকরো
করে নিন। এরপর ১/২ লিঃ হালকা গরম পানি নিন।
আরও পড়ুনঃ
গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়
এবার একটি পাত্রে লেবুগুলো থেকে রস বের করে নিতে হবে এবং এই রসের মধ্যে পানি গুলো
দিয়ে দিন। এবার এর মধ্যে তিন চামচ বেকিং সোডা দিয়ে দিন এবং ১/২ চামচ পরিমাণ
ভিনেগার দিন। এবার পুরো মিশ্রণটি এক ঘন্টা পর্যন্ত রেখে দিয়ে অপেক্ষা করুন।
তাহলে তৈরি হয়ে যাবে আপনার পছন্দের ভিম লিকুইড। এই মিশ্রণটি একটি পুরস্কার বোতলে
সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে ব্যবহার করতে পারবেন।
ভীম সাবান
ভীম লিকুইড এর মত ভীম সাবান হচ্ছে পরিষ্কারক এবং অনেক কার্যকরী একটি উপাদান।ভীম
সাবান অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। এটি তেল চর্বিযুক্ত থালা-বাসন সহজেই
পরিষ্কার করে। ভীম সাবান লিকুইড না হওয়ায় এটি সহজে ব্যবহার করা যায় এবং হাতের
তেমন কোন ক্ষতিসাধন হয় না। একটি ছোট ভীম বার অনেকদিন ব্যবহার করা যায় এবং দামে
অনেক সস্তা।
আরও পড়ুনঃকোন ভিটামিনের অভাবে মুখের চামড়া উঠে
লেবুর নির্যাস থাকায় এর সুগন্ধি অনেক ভালো এবং যেকোনো দাগ দূর করতে সক্ষম। এই
ভীম সাবান ছোট আকারে পাওয়া যায় এবং বড় আকারেও পাওয়া যায়। ভীম সাবান যে
পাত্রে রাখবেন, সেখানে একটু লক্ষ্য করবেন যেন পানি জমে না থাকে। কারণ পানি থাকলে
সাবানটি ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। তবে বর্তমানে এখন সব বাড়িতেই ভীম সাবান ব্যবহৃত
হয়।
ভীম সাবানের দাম
আমাদের দেশে ছোট বড় মাঝারি অনেক ধরনের ভীম সাবান রয়েছে। যার যার সাধ্যমত সে
সেটা কিনতে পারে। যার অনেক সামর্থ্য রয়েছে সে সাধারণত বড় আকারের ভীম সাবান
কিনবে এটাই স্বাভাবিক। যারা গরিব তারা ছোট গুলো কিনবে এটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়।
আরও পড়ুনঃ অতিরিক্ত ঘাম কোন রোগের লক্ষণ
এই ভীম সাবান বিভিন্ন পরিমাণের হয়। যেমন ৩০০ গ্রাম, ২৫০ গ্রাম, ১০০ গ্রাম
ইত্যাদি পরিমাণের রয়েছে। এগুলোর গ্রাম অনুযায়ী দাম হয়। যেমন ৩০০ গ্রামের একদম
আবার ১০০ গ্রামের আরেক নাম। ৩০০ গ্রাম ভিমবারের দাম হচ্ছে ৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০
টাকার চেয়ে কম।
আর ১০০ গ্রাম ভিমবারের দাম ১৫ টাকা, যা আগে ছিল ১২ টাকা। ২৫০ গ্রাম ভিমবারের দাম
৬০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৬৫ টাকা। এই ছোট ছোট জিনিস গুলোর দাম আমাদের জানা থাকলে
কেনার সময় সহজ হয়। তাই ভিম সাবান এর দাম গুলো উল্লেখ করা হলো যাতে আপনাদের
উপকারে আসে।
লাইফবয় সাবানের দাম
লাইফবয় সাবান সবার কাছে খুবই জনপ্রিয়। এই সাবানটা মানুষের মনে অনেক বড় জায়গা
করে নিয়েছে। এই সাবানের মধ্যে অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে। যেমন: লাইফবয় হলুদ,
লাইফবয় সাদা সাবান, লাইফবয় লাল ইত্যাদি। এই সাবানটা হয়তো আপনার কাছে পছন্দ
,এজন্য দামটা জানতে চাচ্ছেন। এই সাবানটা ১৫০ গ্রাম, ১০০ গ্রাম রয়েছে। ১০০ গ্রাম
লাইফবয় সাবানের দাম ৫০ টাকা এবং ১৫০ গ্রাম লাইফবয় সাবানের দাম ৭০ টাকা।
এখন সাবানের দাম দিন দিন আরো বেড়েই চলেছে। এই সাবানগুলো ছাড়াও লাইফবয়ের আরো
বিভিন্ন ধরনের সাবান রয়েছে। যেমন: লাইফবয় নিম, লাইফবয় লেমন ইত্যাদি। এগুলোর
দাম ১৫০ গ্রাম ৭০ টাকা আর ১০০ গ্রাম ৫০ টাকা। বর্তমান সময়ে লাইফবয় সাবানের
জনপ্রিয়তা এতই যে, এর চাহিদা অনেক রয়েছে। তাই উপরের আলোচনা মাধ্যমে জানতে
পারলাম লাইফবয় সাবানের বিভিন্ন ক্যাটাগরির দাম কত।
লাক্স সাবান ১৫০ গ্রাম এর দাম
লাক্স সাবান লাইফবয়ের মত অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সাবান। এই সাবানেরও ব্যাপক
চাহিদা রয়েছে। এই লাখ সাবান এর মধ্যে দুটি ক্যাটাগরি রয়েছে যেমন সফট গ্লো এবং
ভেলভেট। সফট গ্লো ৭৫ গ্রামের দাম ৪২ টাকা,আর ৩৫ গ্রাম ১৫ টাকা। ১০০ গ্রাম দাম ৫৫
টাকা, আর ১৫০ গ্রাম দাম ৭৩ টাকা। তবে সাবানের দাম গুলোর ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য
থাকতে পারে। আশা করি কিছুটা হলেও দাম সম্পর্কে ধারণা এসেছে।
ভিম লিকুইড 250ml এর দাম বাংলাদেশ
ভীম লিকুইড কি সেটা আপনারা উপরের আলোচনায় জেনে গেছেন। এখন আলোচনা করা হবে ভীম
লিকুইড এর দাম সম্পর্কে। আমরা বিভিন্ন দামে ভীম লিকুইড কিনে থাকি। কিন্তু আমাদের
যদি ভীম লিকুইডের দাম সম্পর্কে জানা থাকে তাহলে ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা
হয়। তাই এই দাম সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাহলে চলুন জেনে
নিই ভীম লিকুইড এর দাম কত। ভীম লিকুইড ২৫০ml এর দাম ৭০ টাকা। এই দাম জানা থাকলে
ক্রয়ের ক্ষেত্রে ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আশা করি আপনার এই বিষয়টি উপকারে
আসবে।
ভীম লিকুইড 500ml এর দাম বাংলাদেশ
আপনারা জানতে চেয়েছেন ভীম লিকুইড 500 ml এর দাম কত। আসলে ভীম বারের মতো ভীম
লিকুইড অত্যন্ত শক্তিশালী একটি পরিষ্কারক। ভীম লিকুইড খুব সহজেই ময়লা দাগ গুলো
তুলে ফেলে। বিভিন্ন পরিমাণের ভীম লিকুইড পাওয়া যায়। অনেক আগে ভীম লিকুইড 500 ml
এর দাম বলতে গেলে খুব কম ছিল।
আরও পড়ুনঃ নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
কিন্তু এখন বর্তমানে দাম বাড়ায় ভিম লিকুইড এর দামও বেড়ে গেছে। ভীম লিকুইড 500
ml এর দাম ১৪০-১৫০ টাকার মধ্যে। তবে এই দামের মধ্যে একটু তারতম্য হতে পারে। ক্রয়
করার সময় অবশ্যই দামটা যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন।
ভীম বার 100 গ্রাম এর দাম বাংলাদেশ
আমরা উপরের আলোচনায় ইতিপূর্বে জেনে গেছি কত গ্রাম ভিমবারের দাম কত টাকা। ভিমবার
অনেকদিন ব্যবহার করা যায়, ফলে এটি ক্রয়ের ক্ষেত্রে সবাই প্রাধান্য দেয়। ১০০
গ্রাম ভিমবারের দাম ১৫ টাকা। ভীম বারের দামটি হাতের নাগালের মধ্যে থাকায় সবাই
ক্রয় করতে পারে। দামটি য কম বেশি হতে পারে। তাই ক্রয়ের সময় দামটি অবশ্যই দেখে
নেবেন। তাহলে অবশ্যই ভিমবারের দাম গুলো সম্পর্কে আপনারা জেনে গেছেন এবং দাম গুলোর
বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা জন্মেছে।
ভীম লিকুইড এর দাম বাংলাদেশ
ভীম এটি লিকুইড জাতীয় হওয়ায়, সবাই ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। দ্বিগুণ লেবুর
শক্তি রয়েছে যার ফলে দ্রুত পাত্র পরিষ্কার হয়ে যায় এবং কোনরূপ দাগ ছাড়াই
ঝকঝকে করে তোলে। এটি ব্যবহার করার পরেও হাত অনেক কোমল থাকে। অর্থাৎ হাত খসখসে
হয়ে যায় না। ভিম লিকুইড ২৫০ গ্রামের দাম ৭০ টাকা এবং ৫০০ গ্রামের দাম ১৪০-১৫০
টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। তবে এই দামে কিছুটা কম বেশি হতে পারে।
শেষ কথা
অবশেষে, উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা ভিম বার এবং ভিম লিকুইড সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে পেরেছি। আরো জানতে পেরেছি ভীম লিকুইড তৈরি করতে হয় কিভাবে এবং ভীম লিকুইড
এর দাম সম্পর্কে। আশা করি উপরোক্তা আলোচনা মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। কোন কিছু বলার
বা জানতে চাইলে কমেন্ট করুন। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন এবং বেশি বেশি শেয়ার করুন।
ধন্যবাদ