স্ক্রিনশটস টেকনিকস,গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার,কপিরাইটিং বিশ্লেষণ,plagiarism এবং আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং বিশ্লেষণ
আজকে আমরা যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সেটি হচ্ছে স্ক্রিনশটস
টেকনিকস,গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার,কপিরাইটিং বিশ্লেষণ,plagiarism এবং আর্টিকেল
স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং বিশ্লেষণ এই সম্পর্কে। অনেক সময় কাজ ক্ষেত্রে স্ক্রিনশট
দেওয়ার প্রয়োজন হয়। সেই স্ক্রিনশট মোবাইলে হতে পারে কিংবা কম্পিউটারেও হতে
পারে। কিন্তু এই স্ক্রিনশট আমরা অনেকেই দিতে পারি না।অনেকে আমরা মোবাইলে
স্ক্রিনশট সহজেই নিতে পারি কিন্তু পিসিতে স্ক্রিনশট নেওয়ার কিছু টেকনিক রয়েছে।
এই টেকনিক গুলো জানার জন্য আমাদের সাথে আপনাকে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। তাহলে চলুন
আজকে আমরা স্ক্রিনশটস টেকনিকস,গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার,কপিরাইটিং
বিশ্লেষণ,plagiarism এবং আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং বিশ্লেষণ ইত্যাদি বিষয়
সম্পর্কে জানব।
পেজ সূচিপত্রঃ স্ক্রিনশটস টেকনিকস,গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার,কপিরাইটিং বিশ্লেষণ,plagiarism এবং আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং বিশ্লেষণ
ভূমিকা
একটি আর্টিকেল সুন্দরভাবে লিখার জন্য অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে হয়। সুন্দরভাবে
উপস্থাপন করার জন্য অনেক নিয়ম কানুন অনুসরণ করতে হয়। যেই বিষয়গুলো নিয়ে কিংবা
নিয়মগুলো নিয়ে আলোচনা করব এগুলো সম্পর্কে অনেকে ধারণা আছে আবার অনেকের এগুলো
সম্পর্কে ধারণা নেই। এই টেকনিকগুলো যদি আমরা না জানি তাহলে একটি আর্টিকেল লেখার
সময় অনেক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
তাই একটি আর্টিকেল লেখার সময় স্ক্রিনশটস টেকনিকস,গ্রামাটিক্যাল এরর
চেকার,কপিরাইটিং বিশ্লেষণ,plagiarism এবং আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং
বিশ্লেষণ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। আর এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো
নিয়েই আজকের আলোচনা।
স্ক্রিনশটস টেকনিকস
স্ক্রিনশট নামটির সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। এবং অনেকেই এর ব্যবহার করে থাকি। একটি
আর্টিকেল লেখার সময় অনেক জায়গায় স্ক্রিনশট যুক্ত করার প্রয়োজন হয়। স্ক্রিনশট
দেওয়ার অর্থ হচ্ছে পাঠকরা যেন খুব সহজে বিষয়গুলো বুঝতে পারে। কিন্তু এই
স্ক্রিনশট যতটুকু নেওয়ার প্রয়োজন ততটুকু নিতে হবে। মোবাইলের মাধ্যমে স্ক্রিনশট
নিতে হলে ভলিউম বাটন ও পাওয়ার বাটন একসঙ্গে চেপে ধরে স্ক্রিনশট নিতে পারেন।
তাছাড়া বিভিন্ন রকম ফোনে বিভিন্নভাবে স্ক্রিনশট নেওয়ার উপায় রয়েছে। যেমন কোন
ফোনে উপরের নিয়মে স্ক্রিনশট নিতে পারেন আবার কোন ফোনে তিন আঙ্গুল একসাথে উপর
থেকে নিচের দিকে নামালে স্ক্রিনশট নেওয়া যায়।
আপনার কম্পিউটারে বিভিন্নভাবে স্ক্রিনশট নিতে পারেন। তার মধ্যে খুব সহজটি
হচ্ছে-প্রথমে আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে কোন পেজটির স্ক্রিনশট নিবেন। তারপর পেজটি
ডিসপ্লের উপর রাখুন। আপনি উইন্ডোজ 10 বা 11 যেটাই ব্যবহার করেন না কেন বাম পাশে
নিচের দিকে স্টার্ট মেনুতে ক্লিক করে সার্চ অপশনে snipping tool লিখে সার্চ করুন।
তারপর snipping tool ওপেন করুন। এরপর নিউ বাটনে ক্লিক করে পেজের যতটুকু অংশ
প্রয়োজন ততটুকু সিলেক্ট করে নিব। স্ক্রিনশট নেওয়ার পর সেভ করার জন্য ডান দিকের
উপরের অপশনে থ্রি ডট আছে সেখানে গিয়েও সেভ করার অপশন আছে।
তাছাড়া আপনি কিবোর্ড এর মাধ্যমে সেভ করতে পারেন। এর জন্য কিবোর্ড এর Ctrl+s
একসঙ্গে চাপলে সেভ হবে। যদি পুরো পেজটির স্ক্রিনশট নিয়ে নেন তাহলে পেজটিকে এডিট
করে ক্রপ করতে হবে। এর জন্য ফটোশপ অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। ফটোশপ অ্যাপটি ওপেন
করার পর পেজটি সেখানে নিয়ে আসতে হবে। ক্রপ টুলের সাহায্যে যতটুকু অংশ কেটে নিতে
পারেন। কিন্তু এখানে আরো বলে রাখি, ক্রপ টুল ব্যবহার করার আগে clear ratio করে
নিবেন তাহলে ইচ্ছামত ক্রপ করতে পারবেন। ক্রপের সময় উপরের অংশটুকু রাখা উচিত
তাহলে বোঝাতে পারা যায় কোথায় থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে। তাহলে আপনার
স্ক্রিনশটটি ব্যবহার করার জন্য উপযুক্ত হয়ে যাবে।
এই স্ক্রিনশটের ছবিগুলো অনেক সময় কপি করে বা চুরি করে। চুরি রোধ করার জন্য
স্ক্রিনশট এর উপর জলছাপ দেওয়া যেতে পারে। এর জন্য টেক্সটুল ব্যবহার করে এ কাজটি
করা যায়। তাহলে এবার বুঝতে পেরেছেন কিভাবে স্ক্রিনশট নিতে হবে এবং কিভাবে
ব্যবহার করতে হবে।
গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার
আমরা বাংলা বা ইংরেজি লেখার সময় ব্যাকরণ কত ভুল হয়ে থাকে। আসলে আমরা অনেক সময়
বুঝতে পারি না যে কোন বানানটি সঠিক আর কোন বানানটি ভুল। এজন্য গ্রামটিকাল এরোর
চেকার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাংলা বা ইংরেজি দুই ক্ষেত্রেই এটির ব্যবহার
সম্পর্কে বলবো। ইংরেজি লেখালেখির সময় যদি কোন বানান ভুল হয় তাহলে ভুল বানানটির
নিচে লাল দাগ দেখাবে। তখন ভুল বানানটি সঠিক করার জন্য ভুল বানানের উপর রাইট বাটন
ক্লিক করলে উপরে সঠিক বানানটি দেখাবে এবং সঠিক বানানটির উপর ক্লিক করুন। তাহলে
বানানটি সঠিক হয়ে যাবে। আর বাংলা বানান সঠিক করার জন্য অভ্র স্পেল চেকার ব্যবহার
হয়ে থাকে। আপনার কম্পিউটারে যদি অভ্র ইনস্টল করা থাকে তাহলে স্টার্ট মেনুতে
ক্লিক করে সার্চ অপশনে গিয়ে অভ্র লিখে সার্চ করুন। অভ্র লিখার সাথে সাথে অভ্র
স্পেল চেকার show করবে। তারপর অভ্র স্পেল চেকার ওপেন করুন।
আরও পড়ুনঃ ভাইরাস কিভাবে কম্পিউটারের ক্ষতি করে
এখন আপনার যে বানানগুলো সংশোধন করা প্রয়োজন সেই বানানের ওপর ক্লিক করুন। যদি
বানানটি ভুল থাকে তাহলে লাল কালার দিয়ে দেখাবে। আর নিচে সঠিক বানান দেখাবে। সঠিক
বানানের উপর ক্লিক করলে ভুল বানানটি সঠিক হয়ে যাবে। যদি change once এখানে ক্লিক
করলে শুধু ঐ জায়গায় সঠিক হবে। আর যদি change all অপশনে ক্লিক করলে যত জায়গায়
ভুল ছিল সব জায়গায় সংশোধন হয়ে যাবে। তাহলে বুঝতে পারলাম গ্রামাটিকাল এরোর
চেকার এর মাধ্যমে কিভাবে ভুল বানান সংশোধন করা যায়।
কপিরাইটিং বিশ্লেষণ
আমরা যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সেটি হচ্ছে কপিরাইটিং আসলে কি বা কপিরাইটিং
বিশ্লেষণ কি এই সম্পর্কে। আসলে কপিরাইটিং শব্দটি শুনলে বোঝা যায় কোন জিনিস কপি
করা। অর্থাৎ কোন জিনিস কপি করে তা ব্যবহার করা মানে চুরি করা এটা আমরা মনে করি।
কপিরাইট মানে কপিরাইট বা কপি-পেস্ট কোনোটিই না এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস।
কপিরাইটিং বিশ্লেষণ করার সময় attention, promise ,call to action এই তিনটি জিনিস
জানা প্রয়োজন।
এখন attention জিনিসটা কি এটা জানতে হবে। ধরুন, আপনি একটি সার্ভিস অন্যের কাছে
বিক্রি করবেন। এক্ষেত্রে আপনার একটাই উদ্দেশ্য থাকতে হবে সেটি হচ্ছে সেবা
গ্রহীতার বা কাস্টমারের attention টা ধরা। এই কাজটি করতে পারলে আপনার সার্ভিসটি
বিক্রিয় করা সহজ থেকে সহজতর হয়ে যাবে। আর attention ধরতে না পারলে সার্ভিস
বিক্রি করা কঠিন হয়ে যাবে।
এবার আসি promise বিষয়টা নিয়ে। Promise বিষয়টা এরকম যে, আপনি কাস্টমারকে যে
সার্ভিসটা দিচ্ছেন আর এটাও নিশ্চয়তা দিচ্ছেন যে এই সার্ভিসটা এই লেভেল পর্যন্ত
যাবে অথবা কোন পোস্ট করার পর সে অবশ্যই ইনকাম করবে এরকম প্রমিস থাকতে হবে।
এরপর আসি call to action এ বিষয়ে। এটা হচ্ছে সেবা গ্রহীতাকে সার্ভিসটা দিয়ে
দেওয়া বা বিক্রয় করা। যিনি সেবা নিবেন তিনি কোন সেবাটি নিবে বা কোন কোর্সটি
করবেন এরকম পদক্ষেপ নেওয়াটাই হচ্ছে call to action। তাহলে এখন পরিষ্কার ধারণা
পাওয়া গেছে যে কপিরাইটিং বিষয়টা কি। কপিরাইটিং হচ্ছে কোন গ্রহীতার attention টা
কাজে লাগিয়ে promise করে সেবাটি বিক্রয় করা বা সেবা গ্রহীতা পর্যন্ত পৌঁছানোর
কাজটি হচ্ছে কপিরাইটিং।
Plagiarism
এখন আমরা জানবো plagiarism কি, এর ক্ষতি কি রয়েছে এবং ব্যবহার ইত্যাদি সম্পর্কে।
আপনি একটি পোস্ট লেখার পর যদি আপনার পোস্ট কেউ কপি করে নিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশ
করে থাকে তাহলে সেটিকে plagiarism বলে। আপনার পোষ্টের লেখা কেউ চুরি করে ব্যবহার
করছে কিনা তা জানার জন্য বিভিন্ন এক্সটেনশন বা এপ্স ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যার
মাধ্যমে আপনি চেক করে বুঝতে পারবেন কেউ চুরি করেছে কিনা। চেক করার জন্য আপনি copy
scape ব্যবহার করতে পারেন। এটা দ্বারা আপনি বুঝতে পারবেন আপনার তথ্য কেউ চুরি
করেছে কিনা।
আরও পড়ুনঃ ছাত্র জীবনে টাকা আয়ের উপায়
কেন করা যাবে না
Plagiarism করা অপরাধ। যদি আপনার পোষ্টের তথ্য কেউ চুরি করে তার ওয়েবসাইটে
ব্যবহার করে তাহলে আপনি তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। এবং
আপনি যদি অন্য কারো পোষ্টের তথ্য চুরি করে ব্যবহার করেন তাহলে সেইও আপনার
বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। কপিরাইট আইনে plagiarism করা
মারাত্মক অপরাধ।তাই plagiarism বিষয়টি মাথায় রেখে সবারই পোস্ট লেখা উচিত।
আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং বিশ্লেষণ
আমরা এখন জানবো আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং কি।
আর্টিকেল স্পিনিংঃ আর্টিকেল স্পিনিং বলতে বোঝায় একটি আর্টিকেল থেকে অন্য
একটি আর্টিকেল তৈরি করা। সেক্ষেত্রে নতুন আর্টিকেলটি আগের আর্টিকেল থেকে সম্পূর্ণ
আলাদা হবে। আলাদা বলতে একই শব্দ হবে না। ঐ শব্দের পরিবর্তে অন্য একটি শব্দ
ব্যবহার করা। বর্তমানে যে আর্টিকেলটি আছে তার মধ্যে দুই হাজার শব্দ রয়েছে ।২০০০
শব্দ থেকে ১০০০ শব্দের সমার্থক শব্দ বা অন্য অর্থ বোধক শব্দ ব্যবহার করে অন্য
একটি আর্টিকেল তৈরি করলে তখন সেটাকে বলে আর্টিকেল স্পিনিং।
উদাহরণঃ কয়েক লাইন কপি করে free-artical spinner.com এই ওয়েবসাইটে আসার
পর কপি করা লেখাগুলো এখানে পেস্ট করে দিতে হবে। টেস্ট করার পর একটি ক্যাপচা ঘর
রয়েছে সেটা পূরণ করে স্পিন টেস্ট এ ক্লিক করতে হবে। তাহলে মূল আর্টিকেলকে
রূপান্তর করে নতুন একটি unique আর্টিকেলে রূপান্তর করে। এটাই হচ্ছে স্পিনিং। একই
জিনিস যখন ডুপ্লিকেট করার প্রয়োজন পরে তখন এটি ব্যবহার করা হয়।
স্ক্র্যাপিংঃ আমরা কোন একটা স্ক্র্যাপিং ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রধান
কি-ওয়ার্ড দিতে হবে। মানে হচ্ছে যে বিষয়টা নিয়ে আর্টিকেল লিখব সে বিষয়টা দিতে
হবে। যেমন যদি আমি পাকা পেঁপে প্রধান কিউ আর ধরি তাহলে পাকা পেঁপে লিখে স্ক্রাপ
বাটনে ক্লিক করতে হবে এবং ওই বিষয়ে একটি আর্টিকেল লেখা হয়ে যাবে। অর্থাৎ সে
সফটওয়্যার আপনাকে ওই বিষয়ের একটা আর্টিকেল লিখে দিয়ে দিবে। আপনাকে শুধু একটি
কিওয়ার্ড দিয়ে দিতে হবে তাহলে অটোমেটিক ভাবে একটি আর্টিকেল তৈরি হয়ে যাবে। এই
পদ্ধতি হচ্ছে আর্টিকেল স্ক্রেপার। কিন্তু এই বিষয়টি google কর্তৃপক্ষ বুঝতে
পারলে সমস্যাও হতে পারে। তাই এটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
শেষ কথা
অবশেষে বলবো উপরোক্ত বিষয়গুলো সবার কাছে পরিচিত হলেও অনেকের কাছে অপরিচিত। তাই
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা স্ক্রিনশটস টেকনিকস,গ্রামাটিক্যাল এরর
চেকার,কপিরাইটিং বিশ্লেষণ,plagiarism এবং আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং
বিশ্লেষণ সম্পর্কে জানতে পারলাম। আর উপরোক্ত বিষয়গুলোর মধ্যে যেগুলো ক্ষতিকর
সেগুলো থেকে বিরত থাকব। উপরের আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য
ধন্যবাদ। অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ