পুরুষাঙ্গের রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন
আসসালামু আলাইকুম। আজকে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সেই বিষয়টি গোপন হলেও সবাইকে
এই বিষয়টি জানা প্রয়োজন। আসলে এই রোগটি প্রায় লোকের হয়ে থাকে। অনেকে এ
বিষয়টি নিয়ে কারো সাথে আলোচনা করে না, গোপন রেখে দেয়। কিন্তু এটি গোপন রাখলে
হবে না কারণ এটি একটি রোগ। এই রোগের প্রতিকার প্রয়োজন।
প্রথমদিকে এটিকে সবাই এড়িয়ে চলে। সেরকম গুরুত্ব দেয় না ফলে এটি জটিল এলাকার
ধারণ করে। তাই আজকে এ আর্টিকেলে পুরুষাঙ্গের রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত
জানাবো। আর এই বিষয়গুলো জানার জন্য আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে।
পেজ সূচিপত্রঃ পুরুষাঙ্গের রোগ ও প্রতিকার
ভূমিকা
পুরুষাঙ্গের বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে। আসলে এই রোগগুলো সম্পর্কে সবার সাথে শেয়ার
করতে সে ইতস্তত মনে করে। সেই রোগ গুলোর প্রতি তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না। আসলে
পুরুষাঙ্গে হার্নিয়া সহ প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, পুরুষাঙ্গে চুলকানি কিংবা
এলার্জির মতো অনেক রোগ হয়ে থাকে। এই রোগগুলোকে ছোট মনে করে আমরা কোন চিকিৎসা
গ্রহণ করি না। এই রোগগুলোর কারণেও অনেক সময় পুরুষাঙ্গের যৌন ক্ষমতা হ্রাস পায়।
তাই আজকে জানবো,পুরুষাঙ্গের রোগ ও প্রতিকার কি, পুরুষাঙ্গের রোগ হলে কি কি ক্ষতি হতে পারে এবং এই ক্ষতিগুলো থেকেই
কিভাবে রেহাই পাওয়া যায় তার উপায় গুলো সম্পর্কে।
পুরুষাঙ্গের চর্ম রোগ ও প্রতিকার
পুরুষাঙ্গের চর্মরোগটি একটি পরিচিত নাম। এই চর্মরোগটা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে।
অপরিষ্কার থাকার কারণে ও এই রোগটি হতে পারে। আবার অপরিষ্কার কাপড় পরিধান করলেও
চর্ম রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর আমরা সবসময় পরিষ্কার থাকার চেষ্টা করব।
প্রতিকারঃ আসলে যে চর্মরোগ গুলো হয় সেগুলোর মধ্যে অনেক চর্ম রোগ ভালো
হয়ে যায়। অনেক চর্মরোগ বংশগত কারণে হয়ে থাকে এবং এই চর্মরোগ গুলো ভালো করা
সময়ের ব্যাপার হয়ে যায়। চর্ম রোগ হলে নিম্নের ওষুধগুলো খাওয়া যেতে পারে।
- ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী মলম
- ভিটামিন
তবে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গুলোর মাধ্যমেও চর্মরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
- যে ব্যক্তির চর্ম রোগ হয়েছে সেই ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়া যাবে না।
- চর্মরোগ ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস পত্র ব্যবহার না করাই উচিত।
- খাবারের সময় অবশ্যই পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে।
- প্রতিদিন গোসল করা উচিত।
- অবশেষে সব সময় পরিষ্কার কাপড় পরিধান করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
তাই এই চর্মরোগ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য অবশ্যই পরিষ্কার থাকব এবং অপরকে পরিষ্কার
থাকার জন্য উৎসাহ প্রদান করব। আর উপরোক্ত পদক্ষেপ গুলো অবশ্যই অনুসরণ করে চলবো।
পুরুষাঙ্গের চুলকানি রোগ ও প্রতিকার
পুরুষাঙ্গে চুলকানি একটি অতি পরিচিত রোগ। সচরাচর এই রোগটি প্রায় মানুষের দেখা
যায়। গোসলের সময় পুরুষাঙ্গের আশেপাশে পরিষ্কার না করলে এই চুলকানি হতে পারে।
তাছাড়া শরীরের ঘাম অনেক সময় শুকিয়ে যায় কিন্তু গোপনাঙ্গের ঘাম শুকানোর সেরকম
বাতাস পায় না। যার কারণে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং
চুলকানি হতে পারে।
প্রতিকারঃ পুরুষাঙ্গে চুলকানি রোগ হলে ঘরোয়া উপায়ে এই চুলকানি প্রতিরোধ
করা যায়।
- প্রতিদিন গোসলের সময় পুরুষাঙ্গের আশেপাশে পরিষ্কার করতে হবে।
- যত দ্রুত সম্ভব ভেজা কাপড় পরিবর্তন করে ফেলুন।
- ক্ষতস্থানে নারিকেল তেল দিলে এ রোগ থেকে অতি দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
- যৌন মিলনের পর প্রস্রাব করে নিন এবং পুরুষাঙ্গ পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন।
- চুলকানি দূর করার জন্য নিম পাতা বাটা খুব কার্যকরী একটি উপাদান।
- চুলকানির পরিমাণ বেশি হয়ে থাকলে জেল ব্যবহার করতে পারেন। যেমন: Lidocaine
- চুলকানির স্থানে জ্বালাপোড়া হলে steroid cream এটি ব্যবহার করুন।
এগুলো ছাড়াও আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে পারেন এবং ডাক্তারের
দেওয়া মলম গুলো ব্যবহার করতে পারেন।আশা করি এটাও বুঝতে পেরেছেন যে, পুরুষাঙ্গের রোগ ও প্রতিকার কি এবং এর করণীয় কি ইত্যাদি সম্পর্কে।
পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি কেন হয়
পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে।
- ত্বক শুষ্ক হওয়ার কারনে এটি হয়ে থাকে।
- অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়েও এই রোগটি হয়ে থাকে।
- কিছু কিছু জিনিস ব্যবহারের ফলে এলার্জি হয়ে থাকে। এই জিনিসগুলো ব্যবহার করলেও এ রোগটি হতে পারে।
প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি হলে কি করনীয়
প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি হলে কিছু কিছু পদ্ধতি বা উপায় গুলো সঠিকভাবে পালন
করলে এই চুলকানি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
- আন্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করে আক্রান্ত স্থান ধৌত করতে হবে।
- চুলকানি হলে যে জিনিসগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে এলার্জি ছড়াতে পারে সেগুলো ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ক্ষতস্থানে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সব সময় শুকনো রাখতে হবে।
- কোন অবস্থাতেই ক্ষতস্থান চুলকানো যাবে না।
- যৌন মিলনের ক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার করা উচিত।
তাই প্রস্তাবের রাস্তায় চুলকানি হলে আমরা উপরোক্ত কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকবো এবং
এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
পুরুষাঙ্গের বিভিন্ন রোগ
আমাদের অনেকেরই জানা নেই যে পুরুষাঙ্গের কি কি রোগ হতে পারে। আবার যেই রোগগুলো
হয় এগুলো সম্পর্কে অনেকের জানা নেই। পুরুষাঙ্গে চর্মরোগ,চুলকানি রোগ ইত্যাদি
রোগগুলো হয়ে থাকে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন রোগ রয়েছে যেমন বালানাইটিছ। এটি
পুরুষাঙ্গের উপরে হয়ে থাকে। এই রোগের কারণে পুরুষাঙ্গ ব্যথা হয়ে যায়, ফুলে
যাবে এমনকি চুলকাতেও পারে।
আরও পড়ুনঃ হাত পায়ের নখ সুন্দর করার উপায়
আরেকটি হচ্ছে পেনাইল ক্যান্সার। এটিও একটি পুরুষাঙ্গের রোগ। এর কারণে পুরুষাঙ্গের
চামড়া খারাপ হতে শুরু করে। প্রিয়াপিজন এটিও পুরুষাঙ্গের আরেকটি রোগ। এই রোগের
কারণে পুরুষাঙ্গে অনেক যন্ত্রণা শুরু হবে। এই রোগ গুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন রোগ
রয়েছে। তাই এই রোগ গুলো হলে আমরা সেগুলো অবহেলা করবো না।
পুরুষাঙ্গের রগ ফুলে যাওয়া
আসলে এই রোগটা আমাদের একটু অসাবধানতার কারনেও হতে পারে। যারা নতুন বিয়ে করেছে
তারা যৌনমিলনে আগ্রহ বেশি দেখায় এবং তখন যৌন মিলনের মাত্রাটা একটু বেশি থাকে।
তবে অনেক ক্ষেত্রে এই যৌন মিলনের সময় পুরুষাঙ্গে আঘাত পেয়ে থাকে। যার
ফলশ্রুতিতে পুরুষাঙ্গের রগ ফুলে যেতে পারে। এমন অনেকেই রয়েছে যারা টাইট
আন্ডারওয়্যার পরতে পছন্দ করে। এক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গ টাইট অবস্থায় থাকে এবং অনেক
চাপের সৃষ্টি হয়। যার কারণে পুরুষাঙ্গের রগ ফুলে যায়।
পুরুষাঙ্গে ঘা হলে করণীয়
অনেকের পুরুষাঙ্গে ঘা হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে এই রোগটি হয়ে থাকে। তবে ঘা হলে
অবশ্যই পরিষ্কার কাপড়-চোপড় ব্যবহার করতে হবে। যতদূর সম্ভব ক্ষতস্থান পরিষ্কার
রাখা উচিত। পরিষ্কার করার সময় স্যাভলন দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। এমনকি গোসলের
সময়ও স্যাভলন ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনার ঘা দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। আর যদি
অবস্থা খারাপের দিকে চলে যায় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
শেষ কথা
অবশেষে, পুরুষাঙ্গের রোগ এটা একটি গোপনীয় বিষয়। কিন্তু এটাকে গোপন রাখলে হবে
না। এই রোগ গুলো সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। তাই আজকের আর্টিকেলে পুরুষাঙ্গের রোগ
ও প্রতিকার কি, পুরুষাঙ্গে চুলকানি হলে সে ক্ষেত্রে করনীয় কি এবং পুরুষাঙ্গের
বিভিন্ন রোগ ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারলাম। তাই এই রোগ গুলো আমাদের গোপন না করে
চিকিৎসা নিতে হবে।
আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা অবশ্যই উপকৃত হবেন এবং অন্যজনকে উপকৃত করার
জন্য বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। আর নতুন নতুন তথ্য পেতে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত
ভিজিট করুন। আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।